দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান মন্তব্য করেছেন যে, দেশের পরিচালকরা তাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করেননি এবং নিবেদিতপ্রাণ হওয়ার পরও কাজ পাননি। এরপর শিল্পের প্রতি প্যাশনের কারণেই তিনি কলকাতায় গিয়েছেন এবং সেখানে মূল্যায়নও পেয়েছেন। সম্প্রতি এক পডকাস্টে হাজির হয়ে তিনি এই কথাগুলো বলেন। সেই সঙ্গে এও জানিয়েছেন, দেশের চলচ্চিত্রাঙ্গনে কাজ করতে হলে পরিচালকের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক থাকতে হয়, যা তার পক্ষে সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, “যে পরিচালকদের জন্য আমি সব সময় হাজির ছিলাম, তারা আমাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করেননি বা করতে পারেননি। বাংলাদেশে একটা সমস্যা, পরিচালকের বান্ধবী না হয় স্ত্রী থাকে। এটা তো আমার পক্ষে সম্ভব নয়; এসবে আমি যাইনি, যাবও না। এতটা নিবেদিত থাকার পরও এসব কারণে আমি কর্নারড হয়েছি।”
জয়া জানান, কলকাতায় বাইরের আর্টিস্ট হওয়ার পরও তারা তাকে মূল্যায়ন করেছে, ভালো চরিত্র দিয়েছে, তাকে নিয়ে ভেবেছে এবং তাকে কেন্দ্র করে গল্প বানিয়েছে।
নারী-কেন্দ্রিক কাজ নিয়ে অভিযোগ
জয়া আরও যোগ করেন, “এখনো বাংলাদেশে নারীকে কেন্দ্র করে কাজ করতে ভয় পান অনেক পরিচালক। করলেও এমন কাজে হয় তার বান্ধবীকে নেবেন, না হয় স্ত্রীকে। অথবা মেগাস্টার, সুপারস্টার কাউকে নেবেন। একজন পিওর আর্টিস্টকে নিয়ে বাজি ধরতে রাজি নন তারা।” তবে এর বাইরেও অনেক নির্মাতা কাজ করছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই তিনি বলেন, অনেক ডায়নামিক পরিচালক আছেন, যারা তার কাছ থেকে বা আরো গুণী অভিনেতাদের থেকে ভালো কাজ বের করতে পারতেন, কিন্তু তারা করেননি।
কলকাতার প্রসঙ্গে টেনে জয়া বললেন, “আমি শিল্পী, আমাকে তো কাজ করতে হবে। অভিনয় ছাড়া তো আমি কিছু করিনি বা পারি না। তখন বাংলাদেশে আমি করতে পারি, সে রকম কাজ পাচ্ছিলাম না। সেই কষ্টের জায়গা থেকে এবং শিল্পের প্রতি আমার প্যাশনের কারণেই কলকাতায় যাওয়া।”
এদিকে, বলিউডের প্রযোজক করণ জোহরের ‘ধর্মা প্রডাকশন’ থেকে মুক্তি পাওয়া ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন জয়া, কিন্তু বিভিন্ন কারণে সেটা ছাড়তে হয়েছে তার।